বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), উপকেন্দ্র, কুমিল্লা এর আর্থিক সহযোগীতায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আয়োজনে, মোহনপুর বøকের, পুথাই গ্রামে, কৃষক মো: বিল্লাল মিয়ার জমিতে বিনা ধান-১৬ প্রদর্শনী হিসেবে চাষ করা হয়। ৪/৫/২০২০ তারিখে পরীক্ষামূলকভাবে ধান কর্তন করে হেক্টরে ১৪% আদ্রতায় ফলন হয়েছে হেক্টরপ্রতি ৬.১৩ টন। কাঙ্খিত ফলন দেখে এলাকার কৃষকরা মাঠ দিবসে উৎসাহ উদ্দিপনা প্রকাশ করেন। কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন- বিনা ধান-১৬ আগাম জাত হওয়ার কারনে ধান কর্তন করে আমি এই ধানের জমিতে সরিষা বপন করতে পারবো। এতে আমার আর্থিক মুনাফা বেশী হবে। কৃষক বিল্লাল মিয়ার প্রদর্শনীর ফলন দেখে এ বছর গ্রামের অধিকাংশ কৃষক আগামী আমন মৌসুমে বিনা ধান-১৬ চাষ করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ বছর পুথাই গ্রামের প্রায় ৬০ ভাগ জমিতে এ জাতের ধানের চাষ হয়েছে। বিনা ধান ১৬ এর আবিষ্কারক, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হয়ে উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন- এটি একটি স্বপ্ল জীবনকালীন জাত। বীজ তলায় বপনের পর থেকে ৯৬ দিনের মধ্যে ফসল কর্তন করা যায়। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কৃষিবিদ সুশান্ত সাহা, জেলা প্রশিক্ষণ কর্তকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাহ্মণবাড়িয়া; কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা, তিনি বলেন- দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ ও শষ্য নিবিড়তা বৃদ্ধির জন্য বিনা ধান ১৬ এর আবাদ বাড়াতে হবে। প্রচলিত জাতের জীবনকাল বেশী হওয়ায় ধান কর্তন করে সরিষা চাষ করা সম্ভব হয় না। বিনা ধান ১৬ স্বল্প জীবন কালের হওয়ায় ধান কর্তন করে সরিষা বপন করা যায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন- কৃষিবিদ আব্দুর রাকিব, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা; কৃষিবিদ অর্পিতা সেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা। সভাপতিত্ত¡ করেন- কৃষিবিদ মুন্সী তোফায়েল হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- আমেনা বেগম, উপসহকারী কৃষি অফিসার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।